ভট্টবাবুর ব্লগ
তোমার মাপে হয় নি সবাই
তুমিও হও নি সবার মাপে,
তুমি মর কারো ঠেলায়
কেউ বা মরে তোমার চাপে –
তবু ভেবে দেখতে গেলে
এমনি কিসের টানাটানি?
তেমন করে হাত বাড়ালে
সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।
মনেরে তাই কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে
এইখানে যা ছড়িয়ে আছে
গল্পসল্প
কবিতা
গান
নাটক
রম্যরচনা
চলচ্ছবি
ছড়া
ভট্টবাবুর পরিচয়
‘আমার চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে‘।
কে দিল আমার চেতনার এত রং ? স্মৃতির সরণি বেয়ে যখন ফিরে দেখি ফেলে আসা সময়কে, তখন ভেসে ওঠে অজস্র মানুষের মুখ, যাদের স্পর্শে জন্ম নিয়েছে আমার চেতনার এত রং, যাদের সান্নিধ্যে আমার স্থবির চেতনা হয়ে উঠেছে পরশপাথর। তাই তার স্পর্শে চুনি পান্না রঙিন হয়, পূবের আকাশে জ্বলে ওঠে আলো ।
গল্পসল্প
কার্তিক স্যার
স্মৃতির সরণি বেয়ে যখন ফিরে দেখি ফেলে আসা সময়কে, তখন ভেসে ওঠে অজস্র মানুষের মুখ, যাদের স্পর্শে জন্ম নিয়েছে আমার চেতনার এত রং, যাদের সান্নিধ্যে আমার স্থবির চেতনা হয়ে উঠেছে পরশপাথর। তেমনি এক মানুষ কার্তিক বাবু – কার্তিক স্যার। আমার প্রথম স্কুলের প্রথম হেডস্যার
ভোট বাজারের গল্প - ১
মধ্যরাতে বেডরুমের দরজায় টোকা। যদুদা শুনেও না শোনার ভান করলেন।কিন্তু তাতে কি! পাশে চৈতন্যরূপী বৌ শুয়ে আছে।
– উফ এত রাতে আবার কে ? দ্যাখো না উঠে?
– ও কেউ না, সরকার। (যদুদার নিরুত্তাপ জবাব)
– মানে? কে সরকার ? আমাদের পাড়ার অখিল
মধ্যপদলোপী
চায়ে চুমুক দিতে দিতে আর একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখলো সুপ্রকাশ। খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে , কিন্তু কোথায় যে দেখেছে সেটা মনে পড়ছে না। ইতিমধ্যে তিন কাপ চা খাওয়া হয়ে গেছে। খবরের কাগজটাও বেশকয়েকবার ওল্টানো হয়ে গেছে। কিন্তু এবার না উঠলেই নয় । বেশি দেরি হলে
পরিযায়ী রূপকথা
– আমারে লিচে নামাই দে না ক্যানে, আমি পারবো বটে।
– লা রে বিটিয়া, পাটরি, পাথর সব তাতাই ছে। তোর ছুটা ছুটা পায়ে ছিকা লাগিবে রে মা।
– কিছু হবেক লাই। আমার পায়েতো জুতাটো আছে
দ্বিতীয় ভাগ
– বাপ রে বাপ, এটা কি “টিকে”, না “টিকে আগুন”?
প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে পুরো একদিন শয্যাশায়ী থাকার পর সজ্ঞানে সুখেন্দুর প্রথম উক্তি। বড় ভরসা ছিল তাঁর।
মানি , হানি ও মানহানি
চিরকাল দাদু-বাবা-কাকা-জ্যাঠাদের মুখে শুনে এসেছি মানিব্যাগ। নিজেও তাই-ই বলতাম। কিন্তু, বিয়ের পর বৌ বললো – ” কি যে মানি ব্যাগ, মানি ব্যাগ করো, মনে হয় বাজারের থলি। যত্তসব গেঁয়ো ব্যাপার। ওয়ালেট কিংবা পার্স বলতে পারো না।”
জিকোর গল্প
জিকো আমার ছেলে। ইংরেজী বানানে আমরা লিখি Jiko। ব্রাজিলের ফুটবল খেলোয়ার Zico ছিলো আমার খুব প্রিয়। তাই সেই প্রিয় নামেই জড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম আমাদের প্রথম সন্তানকে। তবে ধ্বনিগত সাদৃশ্য রেখে Junior Kousik এর ছায়ায় ইংরেজী বানানটা রাখলাম Jiko। সব বাবা-মা এরই তাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেক গল্প তৈরি হয়। তারপর কিছু স্মৃতি হয়ে রয়ে যায় , কিছু যায় হারিয়ে। হারিয়ে যাবার আগে, জিকোর সেই সব গল্প থেকে কিছু লিখে রাখতে পেরেছি । ভট্টবাবুর পাতায় দিলাম তারই কয়েকটা।
কালিয়া
-আব তেরা ক্যা হোগা রে কালিয়া ?
-সরদার আপকা নমক খায়া
-তো আব গোলি খা
-হাহাহা হাহাহা হাহাহা …………..
নিরাপত্তা
জিকোর প্রথম এরোপ্লেনে চড়া নমাস বয়সে – হিউস্টোন থেকে হনুলুলু। তারপর বহুবার। আকাশ বরাবরই হাতছানি দিয়ে ডাকে ছোটদের। ছোটবেলায় আমাদেরও ডাকতো। ………………..
পেট
জিকোর যখন যেটা চলে তখন সেটা চলতেই থাকে। হয়তো যেকোনো বাচ্চার ক্ষেত্রেই তাই । আমরাও হয়তো তাই ছিলাম। কিন্তু আমাদের সেইসব দিনগুলোর দাপাদাপি ভাগ হয়ে যেত ..
ভট্টকবির পদ্য
কাকা-কাকী-কুকু
কাকের বাসায় ডিম রাখতে সেদিন গিয়ে দেখি,
নেবু দিয়ে চোখটি বুজে সাওনা নিচ্ছে কাকী।
আমি ভাবলুম এই সুযোগে,
ডিমটা এবার রেখে আসিগে।
ঐতো দেখি কোণের দিকে কাকীর পাড়া ডিমগুলো,
কাকাও নেই আশেপাশে, দিব্বি চোখে দেবো ধুলো।
মিসেস অগ্নিহোত্রী
সব সংগীত রুদ্ধ তার, চামড়ায় নেই গত্তি
মাঝসাগরে মাপছেন জল মিসেস অগ্নিহোত্রী।
এই রাত কাটবে কি আজ তার – হৃদস্পন্দন হচ্ছে ক্রমে ক্ষীণ
বিধাতাকে বলছে চুপিচুপি
“ আজকে আমায় দিওনাগো ছুটি – আজ যে আমার চাঁদের জন্মদিন ।”
আমার মাম্মি আমার মামা
ভট্টবাবুর টিপ্পনী
কেষ্ট-কথা
ওরে আমার কেষ্ট-কে দিস না রে দোষ তোরা,
ও যে গোকুলের নয়নমনি, কানহা মাখন-চোরা।
মিথ্যে বলিস তোরা,
গরু-চোর নয় রে আমার কানু ,
ও যে বেন্দাবনের মাঠে ঘটে চরাতো রে ধেনু।
কেষ্টর আমার বাঁশি শুনে, পাগল হয়ে দিকশূন্যে –
সীমান্তে ছুটতো গরু মোষ
বিহার থেকে বাংলা – মিথ্যে করিস মামলা,
কেষ্টর আমার নাই রে কোনো দোষ।